দেশে চালু হচ্ছে সাইবার থানা
সাইবার অপরাধের ঘটনায় সরাসরি মামলা করার সুযোগ তৈরিতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অধীনে একটি বিশেষ থানা চালু হচ্ছে।
এই থানার দায়িত্বে থাকবেন একজন অতিরিক্ত ডিআইজি, যা পুলিশে এটাই প্রথম।
সাইবার থানার বিস্তারিত রূপরেখা নিয়ে একটি খসড়া তৈরির কাজ চলছে, যার চূড়ান্ত অনুমোদনের প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ। তাই ‘শিগগিরই’ পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকায় একটি সাইবার থানা চালু করার চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে।
বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসে অতিরিক্ত ডিআইজি’র পদমর্যাদার কেউ থানার নেতৃত্ব দেওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম।
এ বিষয়ে সিআইডির সাইবার ক্রাইম সেন্টারের ডিআইজি শাহ আলম বলেন, সাইবার থানা কার্যক্রম শুরুর খসড়াটি প্রথমে পুলিশ সদর দপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাস হবে। তারপর প্রশাসনিক পুনবির্ন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটিতে (নিকার) পাস করা হবে। তারপর পুরোদমে শুরু হবে এই বিশেষ থানার কার্যক্রম। তবে তার আগেই রাজধানীতে পরীক্ষামূলকভাবে একটি থানার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
তিনি আরো বলেন, পরীক্ষামূলক সাইবার থানাটি চালু করার জন্য ভবন খোঁজার কাজ চলছে। যদি পছন্দমতো ভবন না পাওয়া যায় তাহলে সিআইডি কার্যালয়েই একটি ফ্লোরে এর কার্যক্রম শুরু করা হবে।
সাইবার থানার কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, এই থানার নেতৃত্ব দেবেন একজন অতিরিক্ত ডিআইজি। আর থানার দুটি শাখা থাকবে। একটি হলো মনিটরিং এবং অন্যটি তদন্ত। দুই শাখায় দুইজন পুলিশ সুপার দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া দুই শাখায় ৪ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ৮ জন সহকারী পুলিশ সুপার, ৩০ জন পুলিশ পরিদর্শক এবং ৬০ জন উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) অন্তত তিনশতাধিক জনবল কাজ করবে।
ডিআইজি শাহ আলম আরো বলেন, বর্তমানে দেশে পরিদর্শকরা থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। তবে সাইবার থানায় এর চেয়ে কয়েক ধাপ উপরের পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা ওসির দায়িত্ব পালন করবেন। যা বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসে প্রথম।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে কেউ সাইবার অপরাধের শিকার হয়ে সিআইডির সাইবার ক্রাইম সেন্টারে আসলে সমস্যা শুনে প্রয়োজন অনুসারে ভুক্তোভোগীকে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ বা আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে সাইবার থানার কার্যক্রম শুরু হলে ভুক্তভোগীরা সেখানেই মামলা দায়ের করতে পারবেন। এতে তাদের দৌড়ঝাপ করতে হবে না, পাশাপাশি সেবা পাওয়াও অনেক সহজ হবে।